উত্তর : গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ১৯০৫ সনে বংগ বিভাজন করেছিলেন। বংগদেশকে দ্বিখণ্ডিত করে পূর্ববংগের সংগে অসমকে সংলগ্ন করেছিলেন। প্রস্তাবিত প্রদেশটি গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে ইউরোপীয় চা চাষী সংস্থা প্রতিবাদ করেছিল। পরবর্তী সময়ে নবগঠিত প্রদেশটি পূর্ববংগও অসম নামে পরিচিত হয়েছিল। অসমে পদ্মনাথ গোহাঁই বরুয়া, অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরী, ত্রিগুনা বরুয়া, রক্তিম বরা প্রভৃতি নেতারা বংগ বিভাজনের তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার ধুবুরী, গৌরীপুর, গোয়ালপাড়া, গুয়াহাটী ইত্যাদি শহরে স্পষ্ট রূপে প্রকাশ পেয়েছিল। অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরী এবং গোবিন্দ লাহিড়ী গুয়াহাটীর ছাত্রদের মধ্যে বিদ্রোহী সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তাঁরা অসমের জিলাসমূহে স্বদেশী দ্রব্য ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়েছিলেন। আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অসমের মানুষ লবনের পরিবর্তে খার, বিদেশী চিনির পরিবর্তে বেনারসী চিনি ব্যবহার করেছিল।
সুরমা উপত্যকায় সুরমা ভেলী এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে স্বদেশী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। এইভাবে অসমে স্বদেশী আন্দোলন ব্যাপকতা লাভ করেছিল।